খাস খবর বাংলাদেশ ডেস্কঃ সম্প্রতি কাতারভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরা বাংলাদেশ নিয়ে অল দ্য প্রাইম মিনিসটারস মেন শীর্ষক যে প্রতিবেদন সম্প্রচার করেছে এতে তথ্য বিকৃতি করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। এজন্য আল জাজিরার বিরুদ্ধে মামলা করার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। এ ব্যাপারে প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান মন্ত্রী।
আজ ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১ রোজ শনিবার রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, পাবলিক বুঝেছে এটা মিথ্যা। তবে যেগুলো তথ্যগত ভুল বা বিকৃতি সে বিষয়ে আমরা দেখব এবং আমরা মামলা করব। আমরা সেটার কাজ করছি।
আল জাজিরার প্রতিবেদন প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি আল জাজিরায় প্রচারিত প্রতিবেদন নিয়ে আজকে একটা ভালো লেখা বের হয়েছে। বাংলাদেশ প্রতিদিনের বোরহান কবির লিখেছেন। উনি অনেক টেকনিক্যাল জিনিস তুলে ধরেছেন। প্রতিবেদনে অনেক বিষয় খুব সুন্দর করে এডিটিং করা হয়েছে। যা সাধারণ পাবলিক বুঝবে না।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, আমরা আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিনি। ওনাকে এখন এসএসএফ গার্ড দেয়। কিন্তু ওনার এই ৪৫ বছরের রাজনৈতিক জীবনে কোনোদিন কোনো বডিগার্ড ছিল না। ওনার বডিগার্ড হলো ওনার সব নেতাকর্মীরা। কোনোদিন আমরা দেখিনি উনি পয়সা দিয়ে বডিগার্ড রেখেছেন। ওখানে বলা হয়েছে, ওনার দুই বডিগার্ড। এখন নেত্রী যখন বক্তৃতা দেন পেছনে অনেক লোক দাঁড়ান। একজন কোথায় কখন দাঁড়াইছেন। হ্যাঁ, আমরা গণতান্ত্রিক দেশ। আমিও যখন বক্তৃতা দিই আমার পেছনে বহু লোক দাঁড়ায়। আমি তাদের মধ্যে খুব কম লোককেই চিনি। কিন্তু ওখানে (আল জাজিরার প্রতিবেদনে) একজনের ছবি দিয়ে বলছে, ওটা ওনার (শেখ হাসিনার) বডিগার্ড। এই রকম মিথ্যা তথ্য! এটা এভাবে টেকনিক্যালি জোড়াতালি দিয়ে করেছে যে কারণে আল জাজিরা অনেক ক্রেডিবিলিটি হারিয়ে ফেলেছে।
এ কে আবদুল মোমেন বলেন, এখনো আন্তর্জাতিকভাবে আমাদের দেশকে দরিদ্র হিসেবে তুলে ধরা হয়। এটা বিদেশিরা তুলে ধরে না। আমাদের লোকরাই এগুলো চিত্রায়িত করে মনে আনন্দ পায়। ফলে তাদের মনমানসিকতার পরিবর্তন প্রয়োজন। আমাদের দেশে এটা দেখানো হয় বলেই বিদেশিরা এটা পিক করে। আমরা দরিদ্র ছিলাম এটা সত্য। এখন অবস্থার ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু আপনাদের মিডিয়াতে এই তুলনামূলক পরিবর্তনের চিত্রটা দেখি না।
শুক্রবার রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর একটি দলের পরিদর্শন বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের কাছে খবর এসেছে রাখাইনে যেসব রোহিঙ্গারা আছেন তাদের ক্যাম্পে মিলিটারি কমান্ডাররা গিয়েছে। তখন তাদের মুরুব্বিরা তাদের অভিযোগের কথা বলেছে। এবং সেনা কর্মকর্তারা ধাপে ধাপে তাদের অবস্থার পরিবর্তন করার কথা বলেছে। এগুলো শুনে কক্সবাজারের কুতুপালং এলাকায় ক্যাম্পে খুব খুশি লোকজন। এটা ভালো খবর। তবে আমাদের সরাসরি ওদের সরকার এ বিষয়ে বললে তখন সেটা দেখার বিষয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, ওদের (মিয়ানমার) নতুন সরকার শুধু একটা চিঠি দিয়েছে যে, কী কারণে ওরা ক্ষমতা দখল করেছে। এরপর আর আমরা কোনো তথ্য পাইনি।