ধর্ষণ, নারী নির্যাতন বিরোধী আন্দোলনের মাদক বিরোধী আন্দোলনকে ছাপিয়ে রেখেছে। দেশ এগিয়ে চলছে উন্নয়নের রথে, জিডিপির মাপকাঠিতে, করোনা মুক্তি লহ্ম নিয়ে। চলছে নির্বাচন। সোজা কথা জনগণ নৌকা ছাড়া বুজে না, শেখ হাসিনা ছাড়া মানেনা, পরিস্কার জবাব দিয়েছেন, দিতেছেন ভোটের মাধ্যমে। দেশে আন্দোলনে ইসু নাই। রাজনৈতিক ইসুর জন্য যদি ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন কে বেছে নেওয়া হয়েছে ? আমারতো তাই মনে হয়। না হয় একজন মাদ্রাসার শিহ্মক পালা করে শিশুদেরকে বলৎকার করবে, নিরদ্বিধায় পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দিচ্ছে, কি বলবেন আমাদের আলেম সমাজ ? আমরা কিন্তু ধর্মকে দায়ী করি নাই। ধর্ষক কে ধর্ষক হিসেবে চিহ্নিত করি।
আমি মনে করি সকল ধর্ষক, নারী ও শিশু নির্যাতনকারীর একটাই পার্টি, অপরাধী। অপরাধীদের কোনো দল নাই। রাঙ্গুনিয়া নাছির উদ্দীনের বেলায় কোনো দলিয় পরিচয় প্রকাশ করাও হয় নাই। আহলে সুন্নাত, আহলে হাদিস, হেফাজত ইসলাম, চরমুনাই, সুন্নি না সিয়া। মিডিয়া বড় করে হেড লাইন করা হয়েছে নোয়াখলা গ্রামে গৃহবধূ ধর্ষণের মামলায় যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার। নাম এসেছে পরে মজিবুর রহমান শরিফ। এখানেই আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন। নাছিরের অপকর্মে আর শরিফের অপকর্মের প্রার্থক্য আমি দেখি না, যারা খুঁজেন তারা সমাজ উন্নয়নের ন্যায়পরায়ন হতে পারেন না। রাজনৈতিক দৃষ্টিকোন থেকে দেখন।
নোয়াখালী সোনাইমুড়ীর ঘটনা বিশ্ব বিবেক কে হার মানিয়েছে। রাঙ্গুনিয়ার ঘটনাকে কম বলি কিসেবৃত্তিতে। মাদ্রাসার ছাত্র শিহ্মকদের প্রতিবাদ নাই। নুরুদের একটা বিজ্ঞতি নাই। আসলে আমরা এই অপরাধের প্রার্থক্য থেকে কি রাজনীতি খুজছি ? আঃলীগ হ্মমতায়, হ্মমতার ভারসাম্য রহ্মায় অনেক দলের আশ্রয়স্থল। নির্বাচিতরা নিজের হ্মমতা প্রদর্শনের জন্য ভাড়াটিয়া মাস্তানদের মিলন মেলা করেনিয়েছেন মজিব আদর্শ ভিতরে থাকুক আর না থাকুক। আসল চরিত্র প্রকাশ হলেই আঃলীগ যুবলীগ ছাত্রলীগকে দায় নিতে হয়। যে নেতার আশ্রয়স্থলে অপকর্মে জরিয়েছে, তার পরিচয় প্রকাশ হয় না। দলের পদপদবী দেওয়ার সময় সুপারিশ কারীর সাহ্মর নেওয়া হয় না বলে। সরকার পতনের গোপন কৌশল দলে দলে আঃলীগ হয়ে যাওয়াকে চিহ্নিত করতে না পারলে, দলিয় পরিচয়ের ধর্ষণ প্রতিরোধ করা সম্বব হবে না।
মাস্তান ধর্ষক, মাদক,দখলবাজ, নষ্ট পুলিশকে নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না একের পর এক শাস্তির আওতায় এনেও। ধর্ষণের মিছিল আজ অপ্রতিরোদ্ধ, ধর্ষিতার প্রতি সহানুভূতি নাই, শাহাবাগে মিছিলের অভাব নাই, শেখ হাসিনার পদত্যাগ চাই, পুস্তলিকা দাহ, মাদকের অপ্রতিরোদ্ধ ব্যবহার আন্দোলনকে প্রশ্নবৃদ্ধ করেছে।
৭১ টিভি বয়কট ও ইউটিউবের অপপ্রচার দেখে এদেরকে সাধারণ ছাত্র মনে করার কিছু নাই। ষড়যন্ত্রের একটা গন্ধ বহন করছে। একজন ড্রাইভার পিয়ন শত শত কোটি টাকার মালিক, কালকের ছাত্র নেতা আজ কোটি টাকার গাড়ীতে।
৪৫ বছর রাজনীতি করে ওয়ার্ড আর ভাঙা বেসপা আমাদেরকে ছাড়লো না। হায়রে রাজনীতি এখনো মজিব আদর্শের পরিহ্মা দিতে হয় নব্ব কাওন্সিলর ও আঃলীগাদের কাছে। আলেম সমাজ নিশ্চুপ থাকে বলৎকার দেখলে। সাংবাদপত্র খুঁজে বেরায় ছাত্রলীগ যুবলীগের কি অপকর্ম আছে। পুলিশকে কতটা নষ্ট প্রমান করা যায়, পুলিশ ও স্বেচ্ছায় নষ্ট হতে চায়। চট্রোগ্রামে ওসি প্রদীপ থেকে সিলেটের এসআই আকবর কি নষ্ট হওয়ার প্রতিযোগীতায় ছিলো ? আমরা পরিবর্তন হলে দেশ পরিবর্তন হবে। হবে রাজনৈতিক পরিবর্তন। রাজনৈতিক পরিবর্তনে আমাদেরকে বিশ্ব পরিচিতি এনে দিতে পারে, অবৈধ অর্থের, অবৈধ কাজের প্রয়োজন হবে না। এ কথা বাংলার প্রতিটি মানুষ বুঝাতে পারলেই আমাদের রাজনৈতিক সফলতা আসবে।
আমরা এখন বুঝতে পারিনি শেখ হাসিনার শাসন ব্যবস্থা, ভারতের ঘরে ঘরে প্রতিটি রাজনৈতিক দলে শেখ হাসিনার জিডিপির আগুন লেগেছে ভারতকে পেছনে ফেলার কারনে। আলহামদুলিল্লাহ ছুরা দিয়ে হয় নাই আল্লাপাকের রহমত ও শ্রমের প্রয়োজন হয়েছে। এখন দেশের মানুষের সহায়তার প্রয়োজন বিশ্বকে চমকিয়ে দিতে। সুফল ভোগ করতে হলে মাদক ধর্ষণ নারী ও শিশু নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। ক্যাসিন করোনা, সাহেদ, সাবরিনা,পাপিয়া, নাছিরউদ্দিন মুক্ত করতে হবে। পুলিশকে আপন মহিমায় জ্বলে উঠতে হবে, জ্বালাতে হবে সততার আগুন।
লেখকঃ মহাসচিব বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি