মোঃ ইব্রাহিম হোসেনঃ সব কিছুর মুল্য নির্ধারণ করে দিলে ভালো হতো। মাছ মাংস ফল মুল, কাঁচা মরিচ সহ অনেক বিষয় আছে সরকার মাথায় নিচ্ছে না। কাঁচা মরিচের ঝালে আমরা অস্তির। বিক্রমপুরের আলু উৎপাদন খরচ ১২/১৩ টাকা, কুমিল্লা ১৩/১৪ টাকা, বগুরা রংপুর আগাম হওয়াতে ২০/২৫ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়ে থাকে।
মৌসুমী সবজির আগাম বাজারজাত হওয়াতে আসি নব্বই টাকাও বিক্রি হয়। বিক্রমপুরের আলু সবশেষ উত্তোলন করতে হয়। তখন আর আলুর বাজারে চাহিদা না থাকায় কোলেস্টর জাত করতে হয়। আনা নেওয়া, ওয়েস্টেজ বস্তা সহ কেজি প্রতি ১০/১১ টাকা খরচ হয়ে যায়। ৩০ টাকা পাইকারী ৩৫ টাকা খুচরা মুল্য নির্ধারন যুক্তিসংগত। সরকারের এ মহানুভবতা কৃষকের জন্য ও সংরক্ষণ করতে হবে।
আলু উৎপাদন মৌসুমে কৃষক যখন আলু বিক্রি করতে না পেরে খেতের মাঝে ফেলে আগুন দিতে বাদ্রহন, তখন সরকারকে এই মহানুভাব নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে কৃষকের ন্যায্য মুল্য নির্ধারনে। আলু আমার দেশের উৎপাদিত কৃষকের ফসল যার মুল্য নির্ধারন করে দিলাম জনগণের কষ্ট বিবেচনা করে। মাংসের বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে ভারতীয় মাফিয়া ডনরা, সরকার সেখানে লহ্মহীন।
আমার দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা লুটে নিচ্ছে গরু ও মাংস পাচার করে। আমরা বন্ধ করতে না পারলেও মুল্য নির্ধারনও করতে পারছিনা কেনো ? ৪৫ বছর নিয়ম করে মুল্য নির্ধারন করলেও ঢাকার দুই মেয়রের অবহেলায় করোনার জন্য চলতি বছর মাংসের মুল্য নির্ধারন করা যায় নাই। আমার দেশে ৩০০ টাকার বেশি মাংস বিক্রি করতে না দিলে ভারতের মাফিয়ারা একচেটিয়া লুট করার সুযোগ পেতো না। ভারতে মাংসের দাম ১৮০ থেকে ২২০ টাকা কেজি হ্ম্যত্রবিশেষ।
বাংলাদেশে ৩০০ টাকা নির্ধারন করে দিলেও ভারতীয় মাংস গরু মহিষে পাচার বন্ধ হবে না, কারণ গরু বিনিময় মধ্যেপ্রাচ্য থেকে ওরা সোনা পাচার করে। গরু হাটের ৫% খাজনাও একটা বড় বাধা পশুপালন উন্নয়নে। কার দায়ীত্ব, কোন মন্ত্রনায়লের, স্বাধীনতা ৫০ বছরেও বুজতে পারলামনা। স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ে আবেদন নিবেদন, দৌড়াদৌড়ি সার। ভোক্তা অধিকার, সিটি কর্পোরেশন তামাশা করছেন। প্রকৃত কৃষক ও জনগণের জন্য মুল্য নির্ধারন নয়। জাতিকে ও সরকারকে আইওয়াশে রাখতেই প্রশাসনের নাটক মঞ্চস্থ হচ্ছে ৩৫ টাকা আলু বিক্রির।
লেখকঃ মহাসচিব বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি