খাস খবর বাংলাদেশ ডেস্কঃ আল-জাজিরার প্রতিবেদন নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে ‘রাজি নন’ বলে জানিয়েছেন গণস্থাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
তিনি বলেন, আল-জাজিরা নিয়ে কিছু বলতে চাই না। এ বিষয়ে কথা বলে জেলখানায় যাওয়ার ইচ্ছা আমার নেই। আমি বিলেতে দীর্ঘদিন ছিলাম। তাই কমোড ছাড়া টয়লেট করতে পারি না। একটা আয়েসি জীবন আমার আছে। তাছাড়া আমার দু’টো কিডনি নষ্ট।
আজ ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১ রোজ শনিবার সাম্প্রতিক কাশ্মির পরিস্থিতি এবং দক্ষিণ এশিয়ার স্থিতিশীলতা শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক আলোচনায় জাফরউল্লাহ চৌধুরী এ সব কথা বলেন। সাউথ এশিয়ান স্টডিজ: বাংলাদেশ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
আলোচনায় ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, আল-জাজিরার বিরুদ্ধে বক্তব্য না নিয়ে এখন ইরান পাকিস্তান ও ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে নতুন করে সম্পর্ক স্থাপন করা দরকার। তা না হলে ভারতীয় আগ্রাসন বন্ধ হবে না। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে ভারতের তাবেদারি না করে এগিয়ে যেতে হবে।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু বুঝেছিলেন ভারত এ দেশের উন্নয়নের সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও শান্তি নিকেতন গিয়ে বলেছিলেন আর কত দেব তোমাদের? তাই আমরা বলব দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় ভারতের ইঁদুর নীতি ও আগ্রাসন বদ্ধ করতে হবে। এখন দেখেন এদেশে পেঁয়াজ। বেশি উৎপাদন ও চাল উৎপাদন হলে তখন পেঁয়াজ ও চাল আমদানি করা হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘কাশ্মির ইস্যু আজ গুরুত্বপূর্ণ। ইসরায়েল থেকে আজ অস্ত্র কেনা হচ্ছে। ইহুদিবাদ খুবই খারাপ জিনিস। শান্তি ও উন্নয়ন চাইলে দিনকে দিন বলতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কে বলব অনেক দিন তো কাটালেন। এখন বেরিয়ে আসুন। আপনার চারপাশে যারা আছে তারা মোসাহেব।’
‘আপনি তাদের কাছ থেকে বেরিয়ে আসুন। খালেদা জিয়াকে যেমন বেইল দিয়েছেন প্রয়োজন হলে আপনার বেইলের জন্যও আমি দাঁড়াব। বঙ্গবন্ধু সংবিধানে বলেছিলেন বিশ্বের যেখানেই মানুষ তাদের আত্মনিয়ন্ত্রনের আন্দোলন করবে বাংলাদেশ তাদের পাশে দাঁড়াবে। কিন্তু আজ সরকার শেখ মুজিবের সঙ্গে বেঈমানি করছে। কাশ্মিরকে সহযোগিতা করছে না,’— বলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
সাউথ এশিয়ান স্টাডির সম্পাদক কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ইসহাক মিয়ানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত গোলটেবিল আলোচনায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহীম বীর প্রতীক। বিএনপি নেতা ড. এহসানুল হক মিলন প্রমুখ।