আর কতকাল মুখ ঢেকে থাকতে হবে ? আমার মাদের?৭২ ঘন্টা, ৭২ বছর পরেও বিচার কেনো হবে না ?
রিপোর্টারের নাম
আপডেট সময় :
Sunday, November 14, 2021
178 Time View
জনাব রবিউল আলমঃ
যেই দেশে বিচারপতির বিচার হয়, সেই দেশের বিচারিক আদালত এমন কথা কেমনে কয় ? আমার মনের যন্ত্রণা লেখে বুজানো যাবে না। দেশের জনগণ সৈইতে না পারলেও বিচার বিভাগ নিয়ে অনেকেই কথা বলতে চান না। আইন মন্ত্রী আনিসুল হক মনে করিয়ে দিলেন সেই বিচারকই শেষ বিচারক নয়। রেইনট্রি মামলারঃধর্ষণের ৭২ ঘন্টা পর পুলিশকে মামলা না নেওয়া নির্দেশনা দিতে পারেন। বিচারকের ’পাওয়ার সীজ’করতে প্রধান বিচারপতি কাছে আবেদন করার অঙ্গিকারে। আমি আজ যন্ত্রণা মুক্ত। মনে অনেক প্রশ্ন ছিলো। ধর্ষণকারী আইন সম্পর্কে অভিহিত হওয়ার পরে ৭২ ঘন্টা ধর্ষিতাকে বন্দী করে রাখলেই আইনের মারপেঁচ থেকে মুক্ত। নারী তার অধিকার থেকে বঞ্চিত। একজন বিচারকের মাথায় এমন একটি বুদ্ধি আসল কীভাবে, কারো ইন্দনে নয় তো ? পৃথিবীর ইতিহাসে ৭২ বছর পরেও ধর্ষণের বিচার হয়েছে, সঠিক প্রমান হাজির করার মাধ্যমে। উপমহাদেশে মনগড়া অনেক আইন হয়েছে, উচ্চ আদালত তারও নিরাময় করেছে। ৭২ ঘন্টার আইন নিয়েও অনেক আলোচনা সমালোচনা হচ্ছে, হবে। বাংলাদেশের জনগণকে, বাঙালি জাতিকে কলংক মুক্ত করবেন : আমাদের গর্বিত বিচারপতিরা। পৃথিবীর ইতিহাসে বাঙালির গর্ব করার মত অনেক ইতিহাস আছে। কলংকের ইতিহাস ও কম নয়। জাতির পিতার হত্যার মামলার প্রতিবন্দকতা ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি হয়েছিল বিচারকেদের সহায়তায়, দুর করেছিলেন বিচারকরাই। সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার কলংকের দাগ এখনো মুছতে পারিনি। বাঙালি জাতিকে আর কত প্রশ্নের সম্মুখীন করবেন ৭২ ঘন্টার আইনের মাধ্যমে। বিচারিক আদালত আমাদের কাছে বিদাতার পরের স্থানটা গ্রহন করেছেন। তাকে রক্ষা করেই চলতে হবে। আর যেনো কোনো মন্তব্য করতে না হয়। সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন না হয়। বিচারকরা সেই দিকে লক্ষ্য রেখেই বিচার কার্যের সমাধান করবেন। নাহয় আমাদের উচ্চ আদালত বসে থাকবে না। পরিমনি বিচারকের মত আপনাদেরকেও উচ্চ আদালতে হাজির হতে হবে। তা হবে জাতির জন্য দুঃখের বিষয়।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব রবিউল আলম।