কোটা বিরোধী আন্দোলন চলছে, প্রেসক্লাব থেকে বাসে ধানমন্ডি, কিছু আন্দোলনকারী একই বাসে। সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী এডভোকেট সাহারা খাতুনের মৃত্যু বার্ষিকীর স্মৃতিচারণ থেকে। পাশে বসা এক ছাত্রকে জিগ্যেস করলাম, কী হলো তোমাদের আন্দোলনের ? চাচা খিধা লাগছে, বাড়ী ছাড়া খাওয়া হবে না। আন্দোলন আর ভালো লাগছে না। কী কমু, কন ? মন্ত্রী এডভোকেট রেজাউল করিম আট বছরের মুক্তিযোদ্ধা, কতশত মুক্তিযোদ্ধা জাল সনদ নিয়ে কোটায় চাকরী পাইছে। প্রশ্নপত্র ফাঁসের পরিক্ষার সচিবরা এখন টাকার কুমির। নকল ডাক্তার, নকল ইঞ্জিনিয়ার, খাদ্যে বেজাল, ঔষধ প্রসাধনী এমনকি মাদকেও বেজাল। পুলিশ, র্যার, ডিবি গোয়েন্দা সংস্থাতে নকল, জাল সাটিফিকেটে বিচারক, দুর্নীতি দমন কমিশনের কর্মকর্তা নাকি দুর্নীতির জন্য বরখাস্ত হয়েছে ?
কী কমু কন ? কোটা আন্দোলন করতে করতে নিজের মেধা অর্জনে বাঁধাগ্রস্ত হয়ে পরছে। শিক্ষকরা ক্লাস নিচ্ছে না, বাবার রিটায়েটের সময় হয়ে এলো, মা চিন্তায় থাকে। ছোট বোনটার বিয়ে হয় নাই, নিজের কথা না হয় বাদই দিলাম। লেখাপড়া শেষ হবে কবে জানি না। কথা শেষ হচ্ছিল না। আমার শুনতে ভালোই লাগছে। এলিফ্যান্ট রোডের জামে অনেকটা সময় পেয়েছি। আমি তার মুখের দিকে তাকিয়ে জিগ্যেস করলাম, তুমি মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনেছো ? বই পড়েছো ? তা হলে বুঝতে পারতে, এই দেশে আমরা সবাই মুক্তিযোদ্ধা। গুটিকয়েক রাজাকার, আলবদর পাকিস্তানী হানাদর বাহিনীর সহযোগী ছাড়া। কেউ সশস্ত্র যুদ্ধা, গানে কবিতায়, সাহায্য তুলে, চিকিৎসার দায়ীত্ব পালন করে, চরমপত্র পাঠ করে, মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় ও খাদ্য দিয়ে সহায়তা করে। একগ্লাস পানি খাওয়াতে পারলেও সে মুক্তিযোদ্ধা। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে অবস্থানকারী একজন কৃষক তার খেত নিরানো কাঁচি দিয়ে রাজাকার হত্যা করেছে, পাকিস্থানীরা তাকে হত্যাকারী চিহ্নিত করলেও আমরা তাকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি থেকে বঞ্চিত করতে পারি না।
আমি মুক্তিযোদ্ধার তালিকার বিপক্ষে, সারে সাত কোটি জনসংখ্যার সাত কোটি মুক্তিযোদ্ধার তালিকা করা, সুবিধা দেওয়া সম্ভব নয়। স্বাধীনতা বিরোধীদের তালিকা করে সাজা দেওয়া সহজ ছিলো। ব্যারিস্টার সুমন হয়তো জানেন না, এডভোকেট রেজাউল করিম হয়তো মুক্তিযোদ্ধাদের একগ্লাস পানি খাইয়েছিলন। বিনিময় একটা সাটিফিকেট রাষ্ট্রের সুযোগ সুবিধা নিয়েছেন। আমি ১৪ বছরের কিশোর, যুদ্ধ করে, বুদ্ধিজীবীদের লাশ উদ্ধার করে সাটিফিকেট নিতে পারিনি। তোমার আবেগকে শ্রদ্ধা করি। বাস, স্টানে এসে থামলো। বলা হলো না ফবঙ্গবন্ধুর অমর বানী, সবাই পাইছে সোনার ক্ষনি, পাকিস্তানীরা আমার জন্য চোরের ক্ষনি রাইখা গেছে। আমি ভিক্ষা কইরা আনি, চাটার দলেরা লুইটা খায়। শেখ হাসিনা কত চোর সামলাবেন ? এনবিআর, দুদক,পুলিশ, নকল গোয়েন্দা সহ সংস্থা, নাকি দলের চিটারপাটরদের মাদক কিশোর গাং কমিটি বানিজ্য ? আমি পারি না আর পারি না, তবু লেখা ছাড়ি না।শেখ হাসিনা কে হারাইলে কী হবে ? কোটায় কী চাকরি হয় ? আমলা নেতা মিলে লুটের ব্যবস্থা করে নেওয়া হয়। এখনো নাকি মুক্তিযোদ্ধার সাটিফিকেট দেওয়া হয়, টাকার বিনিময়ে। এতো লুটেরা কারাগারে, দেশ ছেড়ে দেশান্তরে। তবু হুশে আসতে পারছে ?
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব, রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও খাস খবর বাংলাদেশ পত্রিকার সম্মানিত উপদেষ্টা মন্ডলী জনাব রবিউল আলম।