বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সাঈদ তালুকদারঃ ১৯৭৩ সনে চিলির প্রেসিডেন্ট আলেন্দেকে হত্যা করে তখন সেখানে আমেরিকার রাষ্ট্রদূত ছিলেন বুষ্টার। পরে বুষ্টারকে ভারতের রাষ্ট্রদূত করে পাঠান। ভারতের প্রধানমন্ত্রী মিসেস ইন্দিরা গান্ধী বুষ্টারকে যোগদান করতে দেয়নি । পরে বুষ্টারকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত করে পাঠায়।
১৯৭২ সনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদ কে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন P.L Eighty অধীনে সাহায্য নিবেন কিনা? তিনি জবাব দিয়েছিলেন ” সপ্তম নৌবহর বাংলাদেশে মাছ ধরতে আসেনি।
তারপর কিছুদিনের মধ্যেই বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তানের লায়ালপুর কারাগার থেকে মুক্তি দেন।
তিনি ১৯৭২ সনের ১২ই জানুয়ারি ঢাকায় পৌছান। তিনি এক জনসভায় বলেছিলেন ” আমেরিকার জনগণকে ধন্যবাদ দিতে পারি, কিন্তু আমেরিকার সরকারকে ধন্যবাদ দিতে পারি না ।”
চিলির সেই রাষ্ট্রদূত বুষ্টারকে বাংলাদেশে পাঠান । বাংলাদেশ সরকার তাকে নিয়োগ প্রদান করেন।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এক জনসভায় বলেন , ” বাংলাদেশে চিলির পুনরাবৃত্তি হতে দেব না “।
১৯৭৫ সনের ১৫ই আগস্টের এবং ৩রা নভেম্বরের ঘটনা আমরা সকলেই জানি।
আফগানিস্তানে সরকার পরিবর্তনের পর রাশিয়ান সৈন্য ঢুকে যায় । রাশিয়ান সৈন্যদের হটাতে মার্কিনরা সহযোগিতা করে এবং লাদেনকে দিয়ে আল কায়েদা সৃষ্টি করে ।
ইরানের শাহ কে নির্বাসনের এক নির্জন দ্বীপে পাঠানো হয় । ইরাকের প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনকে দিয়ে ইরানে যুদ্ধ বাধায় , যুদ্ধে ইরাক পরাজিত হয় , তারপর ইরাক হঠাৎ করে কুয়েত দখল করে । তারপর মার্কিনীরা কুয়েত পুনরুদ্ধারের জন্য
কুয়েতে মার্কিনী সৈন্য পাঠায় । ইরাক পরাজিত হয় ।
ইরাকে গৃহযুদ্ধ বাধে এবং সাদ্দাম কে নির্মম ভাবে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করা হয় ।
লিবিয়ার লৌহমানব গাদ্দাফিকে সূতানাতা অপরাধের জন্য তাকেও নির্মম ভাবে হত্যা করা হয় ।
পানামার প্রেসিডেন্ট নরীয়েগাকে পানামা খালে বিবাদের জন্য তার দেশ থেকে মার্কিন সৈন্যরা তুলে নিয়ে যায়। প্যালেস্টাইনে এখনও রক্ত ঝরছে।
বৃটিশের রাজত্বে সূর্য অস্ত যেত না । আমেরিকা কি সেই আশা পূরণ করতে চায়?
লেখকঃ বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদের ভাগ্নে ও জেলহত্যা মামলার অন্যতম স্বাক্ষী এবং ঢাকা মহানগর উত্তর মোহাম্মদপুর থানার ৩১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদ্য সাবেক সহ-সভাপতি ও সদ্য সমাপ্ত ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের ৩১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি পদপ্রার্থী রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সাঈদ তালুকদার।