মোঃ ইব্রাহিম হোসেনঃ বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন পরীক্ষিত সৈনিক, জননেত্রী শেখ হাসিনার আস্থাভাজন নেতা, মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের বলিষ্ঠ কন্ঠস্বর, বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব, রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সংগ্রামী সভাপতি, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও লেখক জনাব রবিউল আলম রচিত, আমার দেখা রায়ের বাজার বদ্ধভুমি এবং শহিদ বুদ্ধিজীবীদের রক্তে ভেজা একটি বটগাছ বই এর শুভ মোড়ক উন্মোচন।
১৯ ডিসেম্বর ২০২১ রোজ রবিবার বিকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি সভাকক্ষে এ বই এর শুভ মোড়ক উন্মোচন করেন, অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি অধ্যাপক ডঃ সৈয়দ আনোয়ার হোসেন (ইতিহাসবিদ)।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, শিরীন আহমেদ, সংসদ সদস্য (সংরক্ষিত আসন) বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ, জনাব সুভাষ সিংহ রায় গবেষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং আকলিমা চৌধুরী (আঁখি), সদস্য ত্রান ও সমাজ কল্যাণ উপ-কমিটি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, আজ সারাবেলা পত্রিকার সম্পাদক জব্বার হোসেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, সুধী সমাজ এবং সাংবাদিকবৃন্দসহ প্রমুখ।
অধ্যাপক ডঃ সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, লেখক রবিউল আলম বই পড়ার সময় আমার মনে হয়েছে, আমি রায়ের বাজার বদ্ধভুমিতে তার সাথে হাটছি। এখনকার বিএনপিপন্থী অনেক লেখকের ইনিয়ে বিনিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস লেখা হয়। রবিউলের বঙ্গমাতার হাতে একগ্লাস দুধ খাওয়া, বঙ্গবন্ধুর কাছে যাওয়া, নৌকার মাঝি হওয়ার বর্ণনা অসাধারণ। শহিদ বুদ্ধিজীবীদের রক্তে ভেজা বটগাছটি রক্ষা করার দাবী জানাচ্ছি। সম্পাদনায় আশিকের দক্ষতায় এই বইটি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের অংশ হয়ে থাকবে। ৩২ নম্বরে অনেক ছোট ছোট ঘটনার সাক্ষী রবিউল, তার অনেক লেখা আমি পড়েছি, আরো লেখতে হবে, আমাদের নতুন সময় পত্রিকার প্রকাশিত হয়। আমি পত্রিকার নিয়মিত পাঠক হওয়াতে নাঈমুল ইসলাম খানের বিচক্ষণতা ও আশিকুর রহমানের দক্ষতায় পত্রিকাটি পাঠক প্রিয়। তৃণমূল থেকে উঠে, লেখার ইচ্ছে থেকে নাইট স্কুলে পড়া এবং মনের আকাঙ্খা বাস্তবে নিয়ে আসা, নিজের অক্ষমতার স্বীকারোক্তি, মুজিব প্রেম আমার ভাবনার জগতে নতুনত্ব সৃষ্টি করেছে। বইটি সম্পাদক, প্রকাশক ও এর সঙ্গে যারা যুক্ত ছিলেন তাদের সকলকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানান।
শিরীন আহমেদ বলেন, আমি বক্তা নই, তবু রবিউল আলম বই এ মুক্তিযুদ্ধের শহিদ বুদ্ধিজীবীদের সম্পর্কে অনেক অজানা কাহিনীর অবগত হয়েছি। রক্তে ভেজা বটগাছটি রক্ষা করার দাবী জানাচ্ছি।
সুভাষ সিংহ রায় বলেন, মানুষ ইচ্ছা করলে কত আস্বাদ্য সাধন করতে পারে, রবিউল আলম আমার দেখা রায়ের বাজার বদ্ধভুমি এবং শহিদ বুদ্ধিজীবীদের রক্তে ভেজা একটি বটগাছ বই তার প্রমান বহন করে।
নূরে জান্নাত আক্তার সীমা বলেন, রবিউল ভাই আমাদের সাথে শাপলা কুড়ির আসরের বন্ধু ছিলেন। ছোট থেকেই কিছু একটা করার উৎসাহ লক্ষ্য করতাম তার মাঝে। হটাৎ একদিন পত্রিকার পাতায় চাপাটি হাতে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিলের দাবীতে মিছিলে। জাতীয় সংসদে ও যে মিছিল নিয়ে আলোচনা হয়েছিল, জাতির পিতার প্রতি এতটা প্রেম অনেক বড় বড় নেতাদের কাছ থেকে ও আমি দেখিনি।
আকলিমা চৌধুরী আখী বলেন রবিউল আলমকে আমি বড় ভাই এর মতো দেখি, তার এই অসাধারণ সৃষ্টি আমার দেখা রায়ের বাজার বদ্ধভুমি এবং শহিদ বুদ্ধিজীবীদের রক্তে ভেজা একটি বটগাছ বইটি ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে থাকবে।