জনাব রবিউল আলমঃ এটিএন নিউজের প্রতিবেদন প্রকাশের পরে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের সন্তানদের প্রতিকৃরা দেখেছি, দেখেছি তাদের বটগাছ সংরক্ষণের বাসনা। বিটিভির আলোচনা অনুষ্ঠানে সুভাষ সিংহ রায়ের প্রশ্নের উত্তরের যখন আমি বটগাছে বেধে বুদ্ধিজীবীদের কে জুলিয়ে হত্যার বর্নণা দিতে ছিলাম ডাক্তার নুশরাতে চোখ বেয়ে পানি ঝরছিল। বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক, শহিদ সাংবাদিক সিরাজুদ্দীনের ছেলে সহ পুরো অনুষ্ঠানের উপস্থিত সবাই আমার দিকে এক পলকে চেয়ে আছেন, নুসরাতের অনুরোধে আমার এই লেখা জীবনের শেষ সময়ে। নুসরাত বলেছিলেন আপনি যা পারেন, যেভাবে পারেন লেখে যান, হয়তো আমি-ই আপনার লেখা ছাপানোর ব্যবস্থা করবো। না হয় কেউ না কেউ একদিন ছাপানোর ব্যবস্থা করবেই। আপনার দেখা, আমাদের বাবাদের রক্তে ভেজা বটগাছ অবৈধ দখলে থাকতে পারে না। ৭১ জার্ণালে অনেকে আলোচনায় অংশ নিয়ে বটগাছের ইতিহাস ও বুদ্ধিজীবীদের লাশ উত্তোলনের গল্প বলেছি। একটি অনুষ্ঠানে ডঃ আনোয়ার হোসেন স্যার, সুমি কায়সার ও মিথিলা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে সুমি কায়সার আমার হাতটা ধরে বলেছিলেন, আপনার হাতে হয়তো আমার বাবার লাশের গন্ধ জরিয়ে আছে। আজও আমার বাবাকে খুজি এ দেশের মানুষের মাঝে। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর আমরা যে কাজটা করেছিম বুদ্ধিজীবীদের লাশ উত্তোলনের মাধ্যমে, ওটা ছিলো একান্তই মানবিক। মানবতার মুল্য এভাবে পরিষোদ করতে হবে বুঝতে পারিনি। বটগাছ অবৈধ দখলে থাকবে, কিছু বলতে পারবোনা, দখলদারের হুমকির জন্য। মুক্তিযুদ্ধের সরকার আছে, থাকবে। আমলাদের মাথাব্যথা নাই বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতি সংরক্ষণের। আমরা লেখে যাবো, প্রতিবাদ করেই যাবো। দেখে যেতে পারবো কীনা জানিনা শহিদ বুদ্ধিজীবীদের রক্তে ভেজা বটগাছ সংরক্ষণের অভাবে পুর্ণাঙ্গ হবে কীনা। তবে এ জীবন থাকতে আমার চেষ্টার কোনো কমতি হবে না। একশতর উপরে লেখা হয়েছে বটগাছ নিয়ে। অধ্যশত টেলিভিশন অনুষ্ঠান। এখনো কারো দৃশ্য গোচর হয় নাই। হবে কীনা জানিনা। এগিয়ে আসতে হবে বুদ্ধিজীবীদের সন্তানদের কে দাবী আদায়ের জন্য। সবার জন্য মঙ্গল কামনার মাধ্যমে এখানেি ইতি টানতে হলো।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামলী লীগের সভাপতি জনাব রবিউল আলম।