আমার দেখা রায়ের বাজার বদ্ধভুমির পুর্ণাঙ্গ হলো না বুদ্ধিজীবীদের রক্তে ভেজা বটগাছ সংরক্ষণের অভাবে
Reporter Name
Update Time :
Saturday, December 5, 2020
124 Time View
ষোল ১৬ তম পর্ব
জনাব রবিউল আলমঃ দোভাষী সাংবাদিক কে একটা স্যালুট। তখন বুঝতে পারিনি জাতি হিসেবে আমরা হত্যাকারী হতে পারিনা। পাকিস্তানীরা যা করেছে, আমাদের আপনজন বাবা মায়ের বুক খালি করে,তারা মানবতাকে ধ্বংস করেছে। আমরাও তাদের মত নিঃসংশ হলে, প্রার্থক্য কোথায় থাকলো। আর এই দৃশ্য বিশ্ব মিডিয়ায় দেখানো হলে বাঙালী বিরের জাতি, আমরা বলবো কি করে। প্রতিদিন রাতেই রাজাকার, অবাঙালী ধরে ধরে এনে অতি উৎসাহিরা হত্যা করছেন। তখন উৎসাহিত হলেও এখন বিবেকের তারনায় ভুগছি। কারা কারা হত্যা করেছে, কার নেতৃত্বে সবার নাম জানা থালেও প্রকাশ করছিনা, বাঙালী ও বাংলাদেশের সম্মানের কথা বিবেচনা করে। শত শত হত্যাকাণ্ড থেকে একটি হত্যার উদাহরণ দেওয়া হলো। স্থান ও হত্যা কারীর নাম প্রকাশ করা হলো না। রাত বলবো কিনা, সন্ধ্যার কিছু পরে মোহাম্মদপুর থেকে অনেক অবাঙালী ধরে আনা হয়েছে। একে একে সবাইকে হত্যা করা হলো। অবশেষে সুঠাম দেহের, সু-শ্রী একজন অবাঙালীকে হত্যা করা জন্য, সাথে অনেক স্বর্ণলংকার , চেইন আংটি, ব্যাসলেট, চোখ বাধা। হত্যার উর্দ্দেশ্যে নেওয়া মানুষটা ও রাজাকার। দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে পহ্ম ত্যাগ করেছে। এখনো যেমন আঃলীগ হ্মমতায় আসার পরে অনেক বিএনপি জামাত আঃলীগার হয়েছে। হ্মমতার ধারাবাহিকতায় পহ্ম ত্যাগের সংস্কৃতি তখনো ছিলো, এখনো আছে, থাকবে চিরকাল। আদর্শের রাজনীতি আপনাকে পরিচিতি, সম্মান দিবে। অবৈধ টাকা দিয়ে মহৎ কিছু করা যায় না তার সঠিক সন্দানদাতা হলো আদর্শের রাজনীতি । নীতি আদর্শ আপনাকে হ্মনিকের জন্য উজ্জ্বল করতে পারবেনা। স্থায়ীত্ব দিতে পারবেন । বন্দী বার বার আকুতি করছে বাচার জন্য, হামকো মারনেছে, তোমকো কিয়া মিলেগা। হামকো যানেদো। হাম তোমকো বহুত রুপিয়া দেএঙ্গে। হামারা সাথ জো হায়, তোম লে’লো।হত্যাকারীর কিছুটা লোভ হলেও পিছন ফিরে দেখলো। দুই তিন জন মুক্তি বাহিনী দ্বারিয়ে আছে কিছুটা দুরত্তে। রাজাকারকে জল্লাদ বানানো হয়েছে এ কথা হয়তো রাজাকার নিজেই বুঝতে পারেনি। তার জন্যও পাহাড়াদার রাখা হয়েছে। পালানো ও কিছু নেওয়ার সুবিধা করতে না পেরে, হত্যার উর্দ্দেশ্যে চাপাতি উঠানো হলো। বন্দী বুঝতে পেরে, মাদারচোদ বলেই হত্যাকারীর গলা চেপে ধরলো। চিক্কার দেওয়ার হ্মমতাও রাখে নাই। হত্যাকারীর দেহটাও কম ছিল না। গোঙ্গানি শব্দ শুনে ঐ তিনজন মুক্তিযোদ্ধা এগিয়ে গেলো। কিছুতেই তার গলা ছাড়াতে পারছিলোনা। মুক্তির জন্য যুদ্ধ করতে করতে, ঠিকমতো খাওয়া দাওয়া না হওয়াতে শরিল ও শক্তি দোটোই হারিয়েছে, শুধু হাতে আছে একটি অস্ত্র, সাথে আছে মনোবল,বাকীটা সারশূন্য। বুঝে নিতে হবে।
অবশেষে মাটিতে পরে থাকা চাপাতি দিয়ে চার পাচটি কোপ দিতে হলো। কিছুহ্মনের মধ্যেই আস্তে আস্তে নিরব হয়ে মাটিতে পরে গেলো। হত্যাকারী ও মাটিতে পরে গেছে। কিছুটা পানি দেওয়ার পরে আস্তে আস্তে জ্ঞান ফিরলো। তখনো বন্দীর জানটা বের হয় নাই। অনেক রাগান্বিত হয়েই হত্যাকারী বন্দীর গলায় এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকলো। মরার পরেও কোপানো থামছে না। মুক্তিযোদ্ধারা তাকে থামিয়ে, নিয়ে এলো। বধ্যভুমিতে কিছু মানুষ মাটিতে চাপা দেওয়া লাশগুলো উঠানো শুরু করেছে। আমরা ক্যামেরা নিয়ে সেখানেই গেলাম। মাটি সরানো হচ্ছে, ক্যামেরা চলছে। বিকৃত লাশের হাড়গোর মাথামুণ্ডু ছিন্নভিন্ন হয়ে উঠে আসছে। ১০ থেকে ১২ টা স্তুব সরানো হলো। বেলা অনেকটা আলো দিতে ব্যার্থ হওয়াতে নিরুপায় হইয়েই ক্যামেরা বন্ধ করতে হলো। বিদেশি সাংবাদিক দোভাষীর সাথে অনেকহ্মন আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলেই মনে হলো দেখতে আসা, স্বজন হারানো অনেকের বক্তব্য রেকট করা হলো। কিন্তু আলোর অভাবে বিদেশির মনের মত হলো না। অনেকেই তার মনের মতন করে কথা বলতে পারলেন না। আগামীকাল ১৯ ডিসেম্বর আবার সকালে আসবেন বলেই আজকের মত ইতি টানা হলো। চলবে ১৭ পর্ব নিয়ে আসবো।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামলী লীগের সভাপতি জনাব রবিউল আলম।