জনাব রবিউল আলমঃ লাখো শহিদের রক্তে মাখা এই বাংলার মাটি,বাশের লাঠি আর জয় বাংলা শ্লোগান দিয়েইতো শুরু করেছিলাম পাকিস্তান হানাদার মুক্তির সশস্ত্র সংগ্রাম। একটি আঙুলের ইশারায় বাঙালী জেগে উঠেছে, জাপিয়ে পরেছে, জীবন দিয়েছে। জীবনের বিনিময়ে স্বাধীনতার জন্য অস্ত্র অর্জন করেছে রক্তের বিনিয়ম। আজ সেই অস্ত্র নাকি টাকায় বিক্রি হওয়ার অপেহ্মায়। জাতির এই অমুল্য সম্পদ রহ্মার জন্য আদালতের দ্বার্স্থ হতে হয়েছে, আদেশের অপেহ্মা করতে হয়েছে। এর চেয়ে বিস্ময় আমার কাছে আর কি হতে পারে। কারা এই উপদেষ্টা ? এই মুক্তিযুদ্ধের সরকারকে ভুলপথে পরিচালিত করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে ? মজিব জন্মশতবার্ষিকীতে। আমি লজ্জিত, দুঃখিত, আমার সরকারের নীতিনির্ধারক ও মন্ত্রী আমলাদের মাঝে কি শুভংকরের ফাঁকি আছে ? ফ্রিদেল কাস্ট্রো জান্তে চেয়েছিলেন, সরকার পরিচালনায় কেনো পাকিস্তান ফেরত কর্মকর্তাদের সুযোগ দেওয়া হলো। জাতির জনকের এই একটি ভুলের মাসুল জীবন দিয়ে সংশোধন করতে হচ্ছে। কাস্টো বলেছিলেন তোমার মুক্তিবাহিনী থেকে দেশ পরিচালনা করলে, ভুল থেকে যে অর্জন হবে, তা হবে দেশের জন্য স্থায়ী। শেখ হাসিনা আর কত জনজ্ঞাল মুক্ত করবেন ? শান্তিতে মুক্ত করতে দেওয়া হচ্ছে কি ? জয় বাংলার শ্লোগান, স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়েও আমাদেরকে আদালতে যেতে হয়েছে, কেনো এবং কি কারনে ? আজও এ প্রশ্নের উত্তর পেলামনা। আদালতের আদেশ কি সরকার বাস্তবায়ন করেছে, নাকি করার জন্য একজন মানুষকে জবাবদিহিতায় আনা হয়েছে ? আদালত পরিস্কার করেদিয়েছে স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার বৈধ অধিকার দেশের জনগণ কার উপর ন্যাস্ত করেছিলো। জয় বাংলার শ্লোগানকে কেনো জাতীয় শ্লোগানের মর্যাদা দেওয়া হলো। আমলারা, শিহ্মকরা জয় বাংলা শ্লোগান উপেহ্মা করছে, মাদ্রাসায় জাতীয় সংগীত বাস্তবায়নের পরিকল্পনা ছাড়াই সরকারের অনুদান ভোগ করছেন। আদালতের আদেশ জয় বাংলা এখন জাতীয় শ্লোগান এ হ্ম্যাত্রে উপেহ্মিত হচ্ছে। স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার অধিকার প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের নাই, জনপ্রতিনিধি হতে হবে, যার জন্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবকে ২৫ বছর অপেহ্মা করতে হয়েছে অধিকার অর্জনের জন্য। আদালত ভালো করে বুঝিয়ে দিয়েছেন। তার পরেও বিএনপি-জামাত ও মৌলবাদীরা হুঙ্কার ছাড়েন, ভাস্কর অপসারনের, স্বাধীনতার ঘোষক নিয়ে মাইক ফাটান। আদালত অবমাননার জন্য একটি নোটিশও দেওয়া হয় নাই। মুক্তিযুদ্ধের আমলা আঃলীগের নীতিনির্ধারণীরা, মন্ত্রীরা ও আঃমী আইনজীবীরাও স্টজে গড়ম করেন স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে, নিজেদের অজান্তেই জিয়ার নামটা প্রচার করেন। প্রচার করেন খালেদা জিয়ার অবৈধ জর্ন্মদিন। আমার ভাবতে অভাগ লাগে, লহ্ম লহ্ম লোক সমাগম করেন আঃলীগ। বিএনপি ও জিয়ার মিথ্যে তথ্যে বয়ান করতে করতে জাতির জনকের সত্য কথা বলার সময় শেষ। স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ, বাঙালী জাতীয়তাবাদ, সাহিত্য সংস্কৃতির ইতিহাস ঐতিহ্য বলার সময় হয় না। না হয়, শেখ হাসিনা ছাড়া আর কেহ বলতেই চায় না, জানেও না। না হয়, এক কথা বলতে বলতে অভ্যস্ত হয়ে গেছে ভাঙ্গা ঢোল বাজাতে বাজাতে। এখন আমাদের রক্তে অর্জিত মুক্তিযুদ্ধের অস্ত্র বিক্রি করার পরামর্শ নিয়ে পায়তারা করছে। মহামান্য আদালতের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি, আমাদের রক্তের বিনিময় অর্জিত মুক্তিযুদ্ধের অস্ত্র রহ্মার আদেশের জন্য। লেখার সময় চোখে অশ্রু সংবরণ করতে পারিনি। যতই চেষ্টা করুন কুচক্রীরা স্বাধীনতার ইতিহাস মুছতে পারবেন না, একজন মুক্তিসেনা বেচে থাকা পর্যন্ত। মজিব জন্মশতবার্ষিকী সফল করতে হবে, স্বাধীনতা বিরোধী আবর্জনা মুক্ত করার মাধ্যমে।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামলী লীগের সভাপতি জনাব রবিউল আলম।