মোঃ ইব্রাহিম হোসেন, নির্বাহী সম্পাদকঃ যারা আমাদের বিচার ব্যবস্থা নিয়ে স্বাধীনতার প্রশ্ন তোলেন, বিচারের রায় বিপহ্মে গেলে গাড়ী ভাংচুর করেন। তারা কী আজ অবগত? মহামান্য হাইকোর্ট স্বাস্থ্য বিভাগকে জবাব দিতে বলেছেন। কেনো হাসপাতাল গুলোতে অভিযান পরিচালনা জন্য অনুমতি নিতে হবে। ইতিমধ্যে সরকারের আমলাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে অনুমতির নোটিশকেও চ্যালেন্স করা হয়েছিলো।
আমাদের আদালত বুড়িগঙ্গা সহ জনস্বার্থের শত শত নজির সৃষ্টি করার পরেও নিজেদের ব্যার্থতার দায় ভার আদালতে উপর চাপিয় দায় মুক্ত হতে চান। প্রতিটি দেশেই বিরোধী রাজনৈতিক দলকে ছায়া সরকার বলা হয়। জনকল্যানের বিরুদ্ধে কোনো আইন হলে ছায়া সরকার জনগণকে নিয়ে প্রতিবাদে মুখরিত হয়। জনকল্যানের জন্য আন্দোলন রাজপথেই সমাধান। আমরা প্রকৃত ভাবেই হতভাগা। আমাদের বিরোধী দল আন্দোলন করে সেনাকুঞ্জে বাড়ী রহ্মায়, তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য।
আমাদের স্বাস্থ্য নিয়ে ইতিমধ্যে ভুয়া ডাক্তার, ভুয়া ব্যবস্থাপত্র, নকল ঔষধ, গলাকাটা বিল, মরা রোগীকে আইসিওতে রেখে স্বজনদের হয়রানি, রোগীর পেটে কেঁচি রেখে সিলাই এর বিরুদ্ধে অভিযানেও অনুমতির আইন করা হলো।সরকারি আমলাদের বিরুদ্ধে মামলা করতেও অনুমতির প্রয়োজনের আইন করা হয়েছিল। ছায়া সরকারের কোনো প্রতিবাদ করেন নাই। যে বিচার ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেন, সেই বিচারকরাই জনস্বার্থ রহ্মা করতে বার বার জনগণের পহ্মে ইতিহাস সৃষ্টি করে চলেছে। আমরা আমাদের বিচার ব্যবস্থা নিয়ে গর্বিত। বিরোধী দল তাদের সম্পর্তি, তাদের সন্তানের জন্য, তাদের অপকর্মে বিচার প্রতিরোধ করতেই জ্বালাও পোড়াও করতে আমাদের সন্তানদের জীবন নিয়ে খেলা করেছেন, হ্মমতার স্বাদ নিতে।
সরকারের ব্যার্থতাকে চিহ্নিত না করতে পারলে, জনগণকে বুঝাতে না পারলে, শুধু ভারত বিরোধী শ্লোগান, খালেদা জিয়ার যায় প্রান নিয়ে রাজনীতি করলে ভোট পাওয়া যাবে? খালেদা জিয়ার গেটে দাড়িয়ে আন্দোলনের ঘোষণা জাতিকে কত মাসুল দিতে হয়েছে, হচ্ছে, বিএনপি এখনো বুঝতে পারেন নাই। না পারলে বুঝানোও যাবেনা। রাজনীতিতেও ফিরে আসতেও পারবেনা। সরকারও চাটুকার নির্ভর হয়ে পরবে। আমরা যারা সরকার দল করি, বিরোধী দলের আন্দোলনের অভাবে, আমাদের প্রয়োজনিয়তাও ফুরিয়ে আসবে। জন্ম নিবে অপকর্মের বাদশারা। জনগণ হবে নির্দেশনাহীন। জাতির জনক বলেছিলেন অনেক সিদ্ধান্ত আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ও নিতে হয়েছে। রাষ্ট্র চালাতে বিরোধী দল সৃষ্টি করতে হয়েছে। আজ আওয়ামী লীগ কে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে হচ্ছে। আওয়ামী লীগ আজ দুই তিন ভাগে ভাগ হয়ে পড়েছে। চরিত্রহীন, অর্থলোভী, আদর্শবানের মাঝে, চলছে লড়াই।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগের সভানেত্রী একার পহ্মে এই বিরোধ থামানো সম্ভব? আদর্শবানরা বলতে পারেন না, কাছে যাইতে পারেন না বলে। স্বাস্থ্য বিভাগের অরাজকতা, ভালো মন্দ বুঝিয়ে দিলে স্বাস্থ্যসেবার নামে লুট বন্ধ হয়ে যাবে। অবশেষে মহামান্য আদালতকেই বুঝিয়ে দিতে হবে জনগণের অধিকার।
আমি বিশ্বাস করি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বুঝে নিবেন এবং ফিরিয়ে আনবেন স্বাস্থ্য বিভাগের শৃঙ্খলা। আমরা হবো বিশ্বসেরা চিকিৎসা দাতা দেশ। আমাদের চিকিৎসরা বহু নজির সৃষ্টি করেছেন, আমরা পারি এবং পরবো। ভুয়া ডাক্তার, ভুয়া সাটিফিকেট, নকল ঔষধ মুক্ত করতে পারলে। আমাদের চিকিৎসকদের সম্মান নিয়ে যারা ব্যবসা করে, তাদেরকে প্রতিরোধ করতে পারলে আমাদেরকে বিদেশ যাইতে হবে না, বিদেশির আমাদের দেশে আসবে চিকিৎসা নিতে, আশায় থাকলাম।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামলী লীগের সভাপতি জনাব রবিউল আলম।