আমাকে মুক্তি দাও, আমি মৃত্যুকে ভয় পাইনা, গুজবকে ভয় পাই
রিপোর্টারের নাম
আপডেট সময় :
Monday, August 7, 2023
182 Time View
ভয় পাচ্ছি, আওয়ামী লীগে লুকিয়ে থাকা চাটুকারদের। যারা আনসারুল্লাহ, জসিমউদদীন রহমানীয়া জামাত, বিএনপি সাথে আতাত করে। কিছু কাউন্সিলর চেয়ারম্যান ভোটের জন্য আপোষের রাজনীতি করে। ওরা জানেনা, মানে না ঐ ভোট আমাদের হতে পারে না। খল কে বিশ্বাস করা যায় না, তবু আমাদেরকে দেখতে হচ্ছে তৃণমূলের আলোচনায় জঙ্গিদের মুখ।ভোট যদি আপোষে আসতো, কঠিন রাজনীতির প্রয়োজন হতো না,৭ বছর আত্নগোপনে ও জেলখানায় থাকতে হতো না।জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানকে হারাতে হতো না, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপর ২১ বার জীবন নাশের হামলা হতো না। ১৫ আগস্ট ২১ আগস্ট শোকদিবস পালন করতে হতো না।
জনজীবন রক্ষার জন্য রাস্তা পাহাড়া দিতে হতো না। অনেক বিষয় এখন সইতে হয়, যা সইতে পারছি না। আগের মতো এখন আর লাঠি হাতে, বাঁশী মুখে শকুন তারাতে পারছি না। অগুনিত মামলার একটির পার্টনার ছিলো ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান,আসামী ছিলাম ৮৬ জন। আত্নগোপন থেকে বেরুতে হতো হাজিরার দিন। একসাথে ঢাকা কোর্টে নাস্তা,পুড়ি,মুড়ি,সিঙ্গারা খাওয়ার আনন্দ ছিলো আলাদা, আমরা মৃত্যু কে ভয় পাইনাই। বেকসুর খালাস পেয়ে কান্নায় ভেঙে পরেছিলাম, মাননীয় বিচারকের প্রশ্নের জবাবে বলেছিলাম, আপনার এই হৃদয়হীন বেকসুর খালাসের জন্য আমাদের মিলন মেলার অবসান হলো। কাল থেকে কারো সাথে দেখা হবে না। এজন্য কান্না থামাতে পারছি না।
বিচারকের মুচকি হাসিতে, রহমান ভাই বুকে জরিয়ে নিয়ে,বলেছিলেন রবিউল এই দিন থাকবে না। মুক্তার হোসেনের লাশের পাশে দারিয়ে মেয়র হানিফ বলেছিলেন, রবিউল এইদিন থাকবে না। সেই দিনতো নাই, এইদিন কোনদিন ? আওয়ামীলীগের অনেক নেতা এখন আনসার উল্লাহ বাংলা ভাই, জসিমউদদীন রহমানীয়া অনুসারীদের ভাড়ায় খাটে ? কেনো আমরা ভুলে যাই আলহাজ্ব মোঃ সাদেক খান এমপির মতো জনপ্রিয় দানশীল মানুষকে সজল ও বেকা পলাশ হত্যার মিথ্যে মামলার আসামী করা হয়েছিলো। যারা এখন জামাত রক্ষা কন্টেক নিয়েছেন, তাদেরকে বস্তায় ভড়া হয়েছিল। আমি ছিলাম সজল হত্যার মিথ্যে মামলায় জেলখানাতে, থাকতে হয়েছে দীর্ঘ সময়। সাবেক হওয়াতে নগরের কাছে বলার সুযোগ নাই। কাউন্সিলরের অবহেলার, অসহযোগীতা অভাব নাই, থানায় চলছে অমুক ভাই, তমুক ভাইএর শ্লোগানের রাজনীত । নৌকা যার, আমরা তার, এই শ্লোগান এখন মিথ্যে হতে চলেছে। ওয়ার্ডের দায়ীত্ব নিয়ে বিপাকে।প্রতিটা ওয়ার্ড, ইউনিট থানার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর এবং চেয়ারম্যান দের কে আলাদা করা হয়েছে। কারা করেছে ? এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবো না। তৃণমূলে চাঁদাবাজ মাদক কারবারী সৃষ্টি করার লক্ষ্যে নয়তো ? ত্যাগি নেতাদের কাছে অর্থ না থাকায় জনবল ও গায়ে শক্তি নাই। মুক্তিযোদ্ধারা একাত্তরের মতো গর্জে উঠতে পারবে না, তাই বলে কি, তাদের সম্মান রক্ষার দায়ীত্ব কেউ নিবে না ? ক্ষমতা, ভাগের অংশ নয়, ভাগ করলে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ঢুকবে গুজব ছড়াতে,নেতৃত্বের জন্য মিথ্যে অপবাদ নিয়ে হাজির হবে , হচ্ছে। ওরা রাজপথে পরাজিত, ঘরে ঘরে বিবাদ সৃষ্টি করবে। আমার ৩৪ নং ওয়ার্ড থেকে শুরু করা হলো কাউন্সিলর ও বস্তা ভড়া নেতার সহায়তায়। কিছু কাউন্সিলর রাস্তায় ঘুরতো, আওয়ামীলীগের মনোনয়নের জন্য চাঁদা তুলে নির্বাচন করেছি, এখন উপদেশ শুনতে হয়।বক্তব্য দেওয়ার সুযোগের কথা। হয় কমিটি দিন, না হয় মুক্তি দিন, এই অসহনীয় যন্ত্রণার রাজনীতি করতে চাই না। আগস্টের শোক আছে বুকে, কলম আছে হাতে, বঙ্গবন্ধুর ,শেখ হাসিনার নৌকার মাঝী আলহাজ্ব মোঃ সাদেক খান এমপি যতদিন বেচে আছে, কারো স্বাদ্ধ্য নাই আমার কাছ থেকে নৌকা কেড়ে নিতে পারে। দায়ীত্বে থাকা পদপদবীর জন্য দলে ভিতরে দল, ঘরের ভিতরে ঘর আর সইতে পারছি না।২০২৪ নির্বাচন,অর্থলুভিদের নষ্টামিতে রাজনীতি চলে না।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব, রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের চলতি দায়িত্ব প্রাপ্ত সভাপতি ও খাস খবর বাংলাদেশ পত্রিকার সম্মানিত উপদেষ্টা মন্ডলী জনাব রবিউল আলম।