খাস খবর বাংলাদেশ নিউজ ডেস্কঃ আজ ১৮ অক্টোবর ২০২৩ রোজ বুধবার রাজধানীতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমাবেশের আয়োজন করেছে। একই দিনে এবং একই সময়ে দেড় কিলোমিটার দূরত্বে দুই দলের পাল্টাপাল্টি এই সমাবেশ জনমনে আতংক সৃষ্টি করেছে। আশংকা করা হচ্ছে সারা ঢাকা শহর থেকে যখন পল্টনে এবং বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেটে জমায়েত হবে তখন মিছিল যাওয়ার সময় দুই দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হতে পারে।
সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে আজ বুধবার রাজধানীর নয়া পল্টনে দুপুর ২টায় সমাবেশ করবে বিএনপি। দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত এ সমাবেশে প্রধান অতিথি থাকবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
অন্যদিকে আজ একই সময়ে রাজধানীতে শান্তি সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৬০ তম জন্মদিন ও শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশের আয়োজন করেছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর আওয়ামী লীগ।
আজ বিকাল ৩টায় রাজধানীর বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটের সামনে এ সমাবেশে প্রধান অতিথি থাকবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সমাবেশে সভাপতিত্ব করবেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মান্নাফী।
দুই দলই সমাবেশ কর্মসূচীতে ব্যাপক জনসমাগম ঘটিয়ে শো-ডাউনের প্রস্তুতি নিয়েছে। দেড় কিলোমিটার দূরত্বে বিএনপি-আওয়ামী লীগের জনসমাবেশকে ঘিরে জনমনে বিরাজ করছে নানামুখী শঙ্কা। বিএনপির সমাবেশ থেকে সরকারকে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দেয়া হতে পারে বলে ধারণা করছেন অনেকে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বিএনপির নেতাকর্মীদের নয়া পল্টনের সমাবেশে যোগ দিতে বলা হয়েছে।
অপরদিকে আওয়ামী লীগের নেতারা শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে ব্যাপক মানুষের সমাগম ঘটানোর টার্গেট নিয়েছে। এর মাধ্যমে রাজধানীতে সাংগঠনিক শক্তির মহড়া দিতে চায় আওয়ামী লীগ। সকাল থেকেই মিছিল নিয়ে রাজধানীর প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে আসবেন।
বিএনপির এই কর্মসূচি ঘিরে কেউ যাতে বিশৃঙ্খলা করতে না পারে সেজন্য সমাবেশ কর্মসূচি পালনের পাশাপাশি রাজধানীর অলিগলি ও পাড়া-মহল্লায় সতর্ক পাহারায় থাকবেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দিতেই এই উদ্যোগ। রাজধানীর প্রতিটি ওয়ার্ড, ইউনিট ও থানার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সতর্ক পাহারায় থাকবেন আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী-ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীরা। মূলত বিএনপির কর্মসূচিকে ঘিরে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের সরব রাখতে এবং রাজনীতির মাঠে বিএনপির বিশৃঙ্খলা ঠেকাতেই এমন পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।