মোঃ ইব্রাহিম হোসেনঃ ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সেনাপ্রধান জেনারেল ড. আজিজ আহমেদ এর ভাতিজা আসিফ আহমেদ, তার ফেসবুকে লিখছেন, আসসালামুআলাইকুম, আশা করি সবাই ভালো আছেন। বিগত কিছুদিন ধরে আমার পরিবার এবং আমাকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে নানান ধরনের খারাপ এবং ভালো খবর নিয়ে সারা দেশ এবং দেশের বাইরে কিছু মানুষ অনেক উৎসাহিত এবং কিছু মানুষ অনেক মর্মাহত। অনেক কাছের মানুষ ভয় পেয়ে দূরে চলে গেছে, অনেক মানুষ আড়ালে নানান কথা বলছে। আমি এবং আমরা পরিবার আওয়ামিলীগের কর্মী বলে এই রকম প্রথম না আগে অনেক বার হয়েছে। কিছু কথা সবার জেনে রাখা দরকার। আমাদের পরিবার যে পরিমান অত্যাচার সহ্য করেছি সারা বাংলাদেশে এমন অত্যাচার কোনো পরিবার করেছে কিনা আমার জানা নাই। আমাদের প্রত্যিক বাসায় যেই কতবার শত্রু পক্ষ হামলা করেছে বাংলাদেশে এতবার কোনো বাসায় করেছে কিনা আমার জানা নাই, আল্লাহের রহমতে আমাদের কারো কোনো শারীরিক ক্ষতি কেউ করতে পারেনি, আমাকে দেশের বাইরেও চলে যেতে হয়েছিল নিরাপর্তার কারনে এবং উচ্চ শিক্ষার কারনে, যখন আমার চাচা মরহুম সায়েদ আহমেদ টিপু কে মেরে ফেলা হলো। একটা সময় ছিল মানুষ শত্রুপক্ষের ভয়ের কারনে আমাদের সাথে দেখা হলে কথা বলতো না, আমাদের সাথে জোগাজক করতো না। আমি প্রায় বলি একটি কথা, একটি সময় এই ঢাকা শহরে আমার নিজের ছায়াও আমার সাথে থাকতো না। আমার বাবা দীর্ঘ ১৩ টা বছর মিথ্যে মামলার কারনে দেশের বাইরে ছিলেন, আমি ছিলাম মিতা ছায়া ছাড়া সন্তান, আমার বাবাকে যেই মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়রছিলো, যখন এই ঘটনাটি ঘটে তখন আমরা সবাই দুপুরের খাবার এক সাথে খাচ্ছিলাম (ওই দিন আমার স্কুল থেকে রেজাল্ট দিয়েছিল এবং আমি ক্লাসে প্রথম না হয়ে দ্বিতীয় হয়েছিলাম, আমাকে আব্বু অনেক বকা দিয়েছিল এখনও মনে পরে)। আজকে আমি আসিফ আহমেদ আপনাদের বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছি আপনাদের ভালোবাসা এবং বিশ্বাস অর্জনের মাধ্যমে। আমি আমার জীবনে এমন কোনো কাজ করি নাই যার জন্য মানুষ আমাকে খারাপ বলবেন।
একটা পরিবার যদি খারাপ হয় তাহলে তাদের সব সন্তানরা শিক্ষিত হতে পারে না। আমরা সরকার পরিবারের সব ভাই, বোনরা কেউ ব্যবসার সাথে রাজনীতি করছি, কেউ ব্যাংকে চাকরি করছি, কেউ ব্যরিস্টার এ পড়ছি, কেউ উনিভার্সিটির লেকচারার, কেউ আর্মিতে আছে, কেউ ডাক্তারি পড়ছে।
আগে আমাদের পরিবার সম্পর্কে জানুন
না জেনে মন্তব্য করবেন না।