আগস্ট ছিলো আনন্দের,শোক ও শোকাহত করে দিলো হায়ানারা বাঙালি জাতি কে
রিপোর্টারের নাম
আপডেট সময় :
Friday, August 4, 2023
139 Time View
টঙ্গী পাড়া থেকে ৩২ নম্বর ধানমন্ডি, ইতিহাসের অগ্নি সাক্ষী বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। জন্ম হয়েছিলো ৮ আগস্ট। পিতার সহধর্মিণী হওয়ার জন্য বয়স ও বুদ্ধি কোনটাই ছিলো না।মাত্র ৬ বছর বয়সে,বিধাতার অপার ইশারায় বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী হয়েছিলেন। খেলার ছলে শাশুড়ির সাথে, রঙ্গ রসেই ছিলেন। মাটির পুতুল, আম কাটার ঝিনুক, মাটির পাতিলের চারা খেলার মাধ্যমে যার দিন কাটতো। অকালে পিতা,মাতাকে হারিয়ে, দাদার কাছে আশ্রয়। মজিব ছিলেন পিতা ভক্ত, এক কথায় দুই পরিবারের মিলন হয়েছিলো। সেই ছোট্ট বালিকা বাঙালি জাতির স্বাধীনতার সহযোদ্ধা, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের উপাধীতে, বিশ্ব বাঙালির বুকে স্থান করে নিয়েছেন। এই সম্মান একদিনে আসেনি, ক্যান্টনম্যান্টে থেকে দয়ার দান নয়। ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোপালগজ্ঞ থেকে সবুজের সমারোহ তুলে এনেছিলেন ধানমন্ডি ৩২ নম্বর। বাঙালির চিরাচরিত সবুজের রূপে, কাঁচা মরিচ, বোম্বাই মরিচ, লাউ কুমড়া, হাস মুরগী কবুতর দিয়ে এক পল্লি গড়ে তুলেছিলেন। শেখ হাসিনার গন ভবন কে আপনারা এখন যেই রূপে দেখছেন, শেখ হাসিনার মাঝে আমি বেগম মজিবে প্রতিছবি দেখতে পাই। জল চকিতে বসা, হাস মুরগী কবুতর কে নিজ হাতে খাওয়ানো,লাউ কুমড়া প্রতিবেশীর জন্য পাঠানো, গরুর দুধে মানুষকে আপ্যায়ন। রাষ্ট্রের প্রথম নারী হয়েও বাঙালি বধুর রূপ ধারন, সাধারণ কাপরে, স্বামীর কপালে পানি পট্টি। এ জেনো এক অবিশ্বাস্য ঘটনা বলতে পারেন। এই অবিশ্বাস্য নারী বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবকে বিধাতা উপহার দিয়েছিলেন ৮ আগস্ট ১৯৩০ সালে। ১৯৪৯ সালের ৫ আগস্ট বঙ্গমাতার কোল জুড়ে এসেছিলেন, বাঙালির মুক্তির সংগ্রামের মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন শেখ কামাল। ক্রিড়াঙ্গন, সংগীতাঙ্গন ও সংস্কৃতি অঙ্গনের এই প্রিয় মানুষটি। দেশ শেরা আবাহনী ক্রিড়াচক্রের প্রতিষ্ঠাতা, আজও যার স্মৃতি বহন করে চলেছি। আগস্টের আনন্দ কে শোকের ছায়ায় বিষাদে রূপদান কারীরা, নিজেরাও লণ্ডভণ্ড জীবনযাপন করছেন। কী লাভ হলো ? কার স্বার্থ হাসিল হলো ? বঙ্গবন্ধুকে স্ব পরিবারে হত্যা করে ? জিয়া, মোশতাক জাতির জন্য কতটুকু অবদান রাখতে পেরেছেন ? হত্যার মিশনের পরিকল্পনা কারী মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ, মির্জাফরদের রক্ষা করতে পারেনি, করার জন্য এগিয়ে আসেনি। উপরন্তু হত্যার সমস্ত দলিল প্রকাশ করেছে। আগামীদিনের মির্জাফরদের বুঝে নিতে হবে। ধলা চামড়া আপনাদের সাথে মিশবে না। দেশপ্রেম ছাড়া মানুষ খোঁজে ওরা, দীর্ঘ সময় অপরাধীদের বোঝা বইবে
না।
কাঁদো বাঙালি কাঁদো, আমেরিকা কে ছাড়ো, না হয় তোমরা হত্যাকারী হতে পারবে, নিজেদের কে রক্ষা করতে পাবে না। জাতির পিতা, মাতাকে রক্ষা করতে পারোনি। পারবে না নিজ পরিবার রক্ষা করতে। নিজের খেয়ে বনের মহিষ তারালে, জাতি আপনাদেরকে ক্ষমা করবে না।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব, রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের চলতি দায়িত্ব প্রাপ্ত সভাপতি ও খাস খবর বাংলাদেশ পত্রিকার সম্মানিত উপদেষ্টা মন্ডলী জনাব রবিউল আলম।