সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১তম জন্মবার্ষিকীতে আয়োজিত বিশাল গণজমায়েতে মাননীয় সংসদ সদস্য, যশোর-০৬ ও যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জননেতা শাহীন চাকলাদার বলেছেন, আজকের এই গণ জমায়েতে আওয়ামী পরিবারের সকল স্তরের নেতাকর্মীদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি প্রমাণ করে যেকোনও ক্রান্তিলগ্নে আওয়ামী লীগ এক ও অভিন্ন।
তিনি আরো বলেন, আগামী ৩১ মার্চ যশোর পৌরসভার নির্বাচনে নৌকা মার্কার প্রার্থীকে ভোট দিতে পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের ৫৫ কেন্দ্রে দলের নেতাকর্মীরা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকবে। সেখানে বিএনপি-জামায়াতের কোনও ভোটার পাওয়া যাবে না। কেননা তারা এ দেশের মানুষের কাছে ভোট চাওয়ার অধিকারই রাখে না।
আজ ১৭ মার্চ ২০২১ রোজ বুধবার বিকেলে শহরের দড়াটানা ভৈরব শহিদ চত্বরে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আয়োজিত গণ জমায়েতে সভাপতিত্ব করেন দলের জেলা সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন।
গণজমায়েতে মাননীয় সংসদ সদস্য, যশোর-০৩ ও যশোর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ বলেছেন, ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত এ দেশে বহু বাঙালি নেতাকর্মীর জন্ম হয়েছে। একমাত্র বঙ্গবন্ধুই কখনোই কোনও কিছুর সাথে আপস করেননি। কোনও কিছুর মোহ তাকে আচ্ছন্ন করতে পারেনি। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ তাই বঙ্গবন্ধুর এক আহ্বানে নিরস্ত্র মানুষ সশস্ত্র হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে মুক্তির লড়াইয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলার বুকে পত পত করে উড়েছে লাল-সবুজের পতাকা।
কাজী আরো নাবিল আহমেদ বলেন, যার জন্ম না হলে বাংলাদেশ নামে কোনও রাষ্ট্রই জন্ম নিতো না তিনি হলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার ১০১তম জন্মবার্ষিকীতে বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই। বঙ্গবন্ধু আমাদের আদর্শ, আমরা শেখ হাসিনার কর্মী। নেতাকর্মীদের মধ্যকার বিভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমাদের জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আমরা এক থাকলে কোনও অপশক্তিই আমাদের এই অগ্রযাত্রাকে রুখতে পারবে না।
সভাপতির বক্তব্যে মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন বলেন, ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ যদি বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হতো; তাহলে আমরা এই স্বাধীন ভূখণ্ড পেতাম না। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ শেষে দেশকে যখন নতুনভাবে বঙ্গবন্ধু গড়ার উদ্যোগ নেন, সেই মুহূর্তে মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত শক্তি তাকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করে। কিন্তু তার কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার সুদৃঢ় ও সুদূরপ্রসারী নেতৃত্বের কারণে আজ আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। বঙ্গবন্ধুর আরও কয়েকজন খুনি যারা বিভিন্ন দেশে লুকিয়ে রয়েছে, তাদের দেশে এনে ফাঁসির রায় কার্যকরের আহ্বান জানান।
গণজমায়েতে অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল মজিদ, যুগ্ম সম্পাদক মীর জহুরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরী, পৌরমেয়র জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টু, দলের সদর উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শাহারুল ইসলাম, শহর কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান বিপু, ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম জুয়েল প্রমুখ।
বক্তারা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষের এই আয়োজনে একই মঞ্চে দলের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও যশোর- ৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদের উপস্থিতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং মুহুর্মুহু স্লোগানে গোটা জমায়েতস্থল মুখরিত করে তোলেন।
অনুষ্ঠান শুরুর আগে দড়াটানা ভৈরব শহিদ চত্বরের মঞ্চে বঙ্গবন্ধুর ১০১তম জন্মবার্ষিকীতে ১০১টি বেলুন ও ফেস্টুন ওড়ানো হয়।