December 4, 2023, 6:54 pm
শিরোনামঃ
বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাস প্রতিরোধে মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেব লীগ রাজপথে অবস্থান কর্মসূচি রাজবাড়ী-২ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন নূরে আলম সিদ্দিকী হক বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিতদের জন্য আওয়ামীলীগকে জবাবদিহি করতে হয়েছে মনোনয়ন বঞ্চিতদের জন্য আলহাজ্ব মোঃ সাদেক খান এমপির করণীয় থেকে রাজবাড়ী‌-১ ও ২ আস‌নে ১৬ প্রার্থীর ম‌নোনয়নপত্র দা‌খিল মোহাম্মদপুর টাউন হল (কাঁচা বাজার) বণিক সমিতির সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত নৌকার মনোনয়ন পেলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর আগামী রবিবার থেকে ফের ৪৮ ঘণ্টা অবরোধের ডাক বিএনপির ‘অবমূল্যায়ন’ করায় নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার ঘোষণা রওশন এরশাদের মৎস্যজীবী লীগের স্বীকৃতির ৪র্থ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে এস এম সিদ্দিকী মামুন শুভেচ্ছা

আইভি রহমানের আজ ১৭তম শাহাদাত বার্ষিকী

Reporter Name
  • Update Time : Tuesday, August 24, 2021
  • 121 Time View

খাস খবর বাংলাদেশ ডেস্কঃ বিশিষ্ট নারী নেত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানের ১৭তম শাহাদাত বার্ষিকী আজ। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ আয়োজিত সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় আহত হয়ে ৪ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে ২৪ আগস্ট সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

১৯৪৪ সালের ৭ জুলাই বর্তমান কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব শহরের চন্ডিবের গ্রামে আইভি রহমানের জন্ম। বাবা মরহুম জালাল উদ্দিন আহমেদ ছিলেন প্রথিতযশা শিক্ষাবিদ। ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ। মা হাসিনা বেগম ছিলেন আদর্শ গৃহিণী। আট বোন ও চার ভাইয়ের মধ্যে আইভি ছিলেন পঞ্চম।

তাঁর পুরো নাম জেবুন্নাহার আইভি। ১৯৫৮ সালের ২৭ জুন নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় তৎকালীন আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি মরহুম মো. জিল্লুর রহমানের সঙ্গে বিয়ে হলে নামের পরে ‘রহমান’ যুক্ত হয়। এ নামেই তিনি পরিচিতি পান দেশব্যাপী।

শুধু আওয়ামী রাজনীতির জন্য নয়, আইভি রহমান বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সঙ্গে পারিবারিকভাবেও জড়িত ছিলেন। তিনি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানার খালা শাশুড়ি। একমাত্র ছেলে নাজমুল হাসান পাপন, দুই মেয়ে তানিয়া বখত, ময়না এবং তাঁদের ছেলে-মেয়ে ও স্বামী জিল্লুর রহমানকে নিয়ে তাঁর পারিবারিক জীবন ছিল সুখময়।

বঙ্গবন্ধুর স্নেহধন্যা আইভি রহমান ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক রাজনীতির বর্ণাঢ্য জীবন শুরু করেন। ছাত্রজীবনে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে শোষিত বাংলা ও বাঙালি জাতির অধিকার আদায় সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। তিনি তখন ছাত্রলীগের প্রথম সারির নেত্রী এবং নীতিনির্ধারক ছিলেন। ১৯৬৯ সালে প্রতিষ্ঠিত মহিলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন।

১৯৭১ সালে বাঙালির স্বাধিকার আদায়ের লক্ষ্যে মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন তিনি। ভারতে গিয়ে সশস্ত্র ট্রেনিং গ্রহণ করে সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালে মহিলা আওয়ামী লীগের সদস্য হন। ১৯৭৮ সালে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা নির্বাচিত হন। ১৯৮০ সালে কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এর আগে মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদিকার দায়িত্বেও ছিলেন তিনি।

রাজনীতি ছাড়াও তিনি আজীবন বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে নিজকে বেধে রেখেছিলেন। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত বাংলাদেশ মহিলা সমিতির সভানেত্রী ও জাতীয় অন্ধ কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। নারীর অধিকার আদায়ের সংগ্রামে এবং সমাজের অবহেলিত শিশু, প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে তাঁর গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা অবিস্মরণীয়।

আইভি রহমানের মৃত্যু বার্ষিকীতে প্রতি বছরের মতো এবারও ভৈরবে নেওয়া হয়েছে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এর মধ্যে ভৈরব বাজারে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলন, কালো ব্যাজ ধারণ করা হয়। এরপর অনুষ্ঠিত হয় খতমে কোরআন। একই সময়ে তাঁর নিজ বাড়ি শহরের ভৈরবপুর এলাকার আইভি ভবনে অনুষ্ঠিত হয় কুরআনখানি ও মিলাদ মাহফিল। এছাড়া তার বাবার বাড়ি জন্মস্থান চন্ডিবেরও তার জন্য দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভৈরব ট্টমা হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় নির্মিত আইভি স্মৃতিস্তম্ভের পাদদেশে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে দলীয় নেতাকর্মীসহ সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। দলীয় কার্যালয়ে শহীদ আইভি রহমানের প্রতিকৃতিতে দলীয় নেতাকর্মীরা মাল্যদান করেন। ভৈরব কেবি পাইলট হাই স্কুলে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বাদ যোহর প্রতিটি মসজিদে মিলাদ মাহফিলসহ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

এ দিকে শহীদ আইভি রহমানের নামে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে ভৈরব পৌর শহরের কমলপুর এলাকায় নির্মাণ করা হয়েছে দুটি স্মৃতিস্তম্ভ ,আইভি রহমান পৌর স্টেডিয়াম ও তাঁর নিজ গ্রাম পৌর শহরের চন্ডিবের এলাকায় আরো একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া তাঁকে স্মরণীয় করে রাখতে সরকারি জিল্লুর রহমান মহিলা কলেজের একটি হোস্টেলের নামকরণ করা হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

Dairy and pen distribution

ডিজাইনঃ নাগরিক আইটি ডটকম
themesba-lates1749691102