মোঃ ইব্রাহিম হোসেনঃ বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল ও সিনিয়র আইনজীবী মাহবুবে আলমের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন ঢাকা মহানগর-উত্তর আওয়ামী লীগের সংগ্রামী সভাপতি শেখ বজলুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি।
আজ ২৭ সেপ্টম্বর ২০২০ রোজ রোববার রাতে এক শোক-বার্তায় শেখ বজলুর রহমান এবং এস এম মান্নান কচি বলেন, দেশের আইন অঙ্গনে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি মাহবুবে আলমের অবদান জাতি সবসময় শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে।
শেখ বজলুর রহমান এবং এস এম মান্নান কচি আরো বলেন, ‘তিনি একজন প্রথিতযশা আইনজীবী হিসেবে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ অনেক আইনী বিষয়ে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে ভূমিকা রেখেছেন এবং সব সময় ন্যায়নিষ্ঠ থেকে আইন পেশায় নিয়োজিত ছিলেন, যা অনুকরণীয় হয়ে থাকবে।’
শেখ বজলুর রহমান এবং এস এম মান্নান কচি মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং তার শোক-সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
দেশের সর্বোচ্চ এ আইন কর্মকর্তা আজ সন্ধ্যা ৭টা ২৫ মিনিটে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) শেষ নিঃশেষ ত্যাগ করেন।
গত ৪ঠা সেপ্টেম্বর ২০২০ রোজ শুক্রবার জ্বর নিয়ে ঢাকা সিএমএইচে ভর্তি হন ৭১ বছর বয়সী মাহবুবে আলম। সেখানে নমুনা পরীক্ষায় তার করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৮ই সেপ্টেম্বর মাহবুবে আলমের শারীরিক অবস্থার হঠাৎ অবনতি ঘটলে আইসিইউতে নেয়া হয়।
ওই সময় আইনমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, মাহবুবে আলমের সর্বশেষ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরীক্ষায় ফলাফল নেগেটিভ এসেছিল।
মাহবুবে আলম ২০০৯ সালে অ্যাটর্নি জেনারেলের পদে নিয়োগ পান। তারপর মৃত্যু অবধি ওই পদে ছিলেন। পদাধিকার বলে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যানও ছিলেন তিনি।
অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে সর্বোচ্চ আদালতে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার বিচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন মাহবুবে আলম।
এছাড়া সংবিধানের পঞ্চম, সপ্তম, ত্রয়োদশ ও ষোড়শ সংশোধনী মামলা পরিচালনাও করেন তিনি।