মোঃ ইব্রাহিম হোসেন, নির্বাহী সম্পাদকঃ পুলিশ বাহিনী নিয়ে গবেষণার শেষ নাই। নাই অপরাধ ও অপরাধীদের শেষ গল্প। অপরাধ নির্মূলের প্রয়োজনিয়তা থেকে পুলিশের আবিস্কার, যাদের কর্মযজ্ঞ ও দায়ীত্ব অপরাধীদের সাথে মিশে থাকার। কতটা ভালো থাকা যায়, কজন মানুষ, কয়টা পুলিশ ভালো থাকতে পারেন। অনেকেই ভালো থাকার চেষ্টা করেন, অনেক ভালো ভালো কাজে উদাহরণ ও সৃষ্টি করেছেন পুলিশ। ইতিহাস টেনে শেষ করা যাবেনা, একটা গল্প দিয়েই শুরু করি।
রায়ের বাজার পুলিশ ফাড়ীতে মাহামুদুর হাসান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী থাকা কালিন জটিকা পরিদর্শনে আসেন, একজন কনেস্টবলকে না পেয়ে, তাকে তাহ্মনিক স্যাসপেন্ট করেন। কিছুহ্মন পরে উপস্থিত হলে, প্রশ্ন করা হলো কোথায় ছিলে, মসজিদে। নামাজ অনেক আগেই শেষ হয়েছে। কোরান তেলোয়াত করিলাম। রোজার মাস হওয়াতে এই কনেস্টবল মসজিদেই রান্না করে খায়, সৎ জীবন যাপন করেন। পুরো রায়ের বাজারের মানুষ এক হয়ে মাহামুদুর হাসানকে বুজানো চেষ্টা করছেন, এরকম সৎ ও ভালো মানুষ আমরা পুলিশে কখনো দিখিনি। তাকে চাকরি হাড়া করবেন না, নামাজ ও কোরান তেলোয়াতের জন্য।
মন্ত্রী এক কথার মানুষ, তার সিদ্ধান্ত থেকে সরানো গেলো না। তার কথা এত ভালো মানুষ পুলিশে থাকতে পারে না। পুলিশের কাম অপরাধ, অপরাধী নির্মু্ূল করা। মসজিদে কি অপরাধী পাওয়া যায়। পুলিশকে জুয়ারী দরতে জুয়া খেলতে হবে, মাদক কারবারীদের সাথে মিসতে হবে। অপরাধ জগতের সাথে না থাকলে সমাজকে অপরাধ মুক্ত করা যাবেনা। কথা গুলো আজও মনে হয় এককাংশে সঠিক। পরহ্মনেই মনে হয় এই অপরাধ জগতে থেকে কয়টা পুলিশ নিজেকে ঠিক রাখতে পারে।
কক্সবাজার হত্যা কাণ্ডের পর থেকে ওসি পদীপ, হাবিবুর রহমান সহ অনেক পুলিশকে নিয়ে আলোচনা, সমালোচনার শেষ নাই। অনেক মিডিয়া অপরাধ, অপরাধী ও পুলিশ বাহিনীকে এক করে ফেলছেন। যেভাবে পুলিশ বাহিনীকে হেওপ্রতিপন্ন্য করছেন, আগামীতে কি আমরা এই পুলিশ বাহিনীর কাছে থেকে সমাজ কি আশা করতে পারে? সেনাপ্রধান ও পুলিশ প্রধানের কথাটা যদি আমরা মনে রেখে সংবাদ করতে পারি। অপরাধ ব্যাক্তির, কোনো বাহিনী দায় নিবেনা। আমি মনে করি কোনো বাহিনীকে দায় দেওয়াও ঠিক হবে না। আমাদের অর্থে, আমাদের সন্তানরাই সব বাহিনীর দায়ীত্ব পালন করছেন, আমাদের দেশ, আমাদের জীবনের নিরাপত্তার জন্য। আমি বলছি না আমাদের সন্তানরা অপরাধ করছে না, অপরাধীর বিচার হবে না। অপরাধ, অপরাধী চিহ্নিত করে সমাজের কাছে তুলে ধরুন। ওসি পদীপের জন্য পুলিশ বাহিনীকে দায়ী করা যাবেনা। বিনা বিচারে হত্যা ক্রসফায়ার ও বিচারের প্রতিবন্দকতা ইনডেমনিটি অপারেশন কিলিংহাটের জন্য, বাতিল করুন।
জাতির জনক হত্যার বিচারের ইনডেমনিটি বাতিক করে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ নিধনের অপারেশন কিলিংহাট ও খালেদা জিয়ার আবিস্কৃত ক্রসফায়ার বাতিল না করলে প্রশ্ন থেকেই যাবে, অসৎ পুলিশের ক্রসফায়ার বানিজ্য চলতেই থাকবে।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামলী লীগের সভাপতি জনাব রবিউল আলম।